ঔষধ কম্পানির প্রতিনিধিদের নেই কোন ছুটি, সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ডিউটি, নেই কোন নীতিমালা, যেন দেখার কেউ নাই।
গাজী মনজুরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার বাংলা।
বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প অনেক উন্নত। দিন দিন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হয় বাংলাদেশের ঔষধ। আর এজন্যই বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোতে প্রয়োজন হয় কোম্পানির প্রতিনিধির। কিন্তু এই প্রতিনিধিদের নেই কোন সরকারী নীতিমালা। মাসের-পর মাস নেই কোন ছুটি। সকাল সাতটা থেকে শুরু করে রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করতে হয় রিপ্রেজেন্টেটিভ দের। কোন কোন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধির অভিযোগ অতিরিক্ত চাপের কারণে অনেকে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়। সেলস টার্গেট এর কারণে চাপে থাকেন প্রতিনিধি রা। আন্ডার রেটের কারনে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ গন নিজের বেতন থেকে বেতনের সিংহভাগ দিয়ে দিতে হয় ঔষধ দোকানদারদের। যার কারনে ঋনগ্রস্হ হয়ে পড়েন বেশিরভাগ রিপ্রেজেনটেটিভ দের। দেশের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে অনেকে যোগদান করে ঔষধ কোম্পানিগুলোতে। অধিক বেতনের জন্য উচ্চশিক্ষিত ছেলেগুলোকে আকৃষ্ট করে ঔষধ কোম্পানিগুলো। সরকারি কোনো নীতিমালা না থাকায় বিপাকে পড়েছে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। সাপ্তাহিক ছুটি থেকে শুরু করে মাসিক কোন ছুটি নাই ঔষধ কোম্পানিগুলোতে। এই অবস্থায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ সরকারকে সরকারি নীতিমালার মাধ্যমে ঔষধ কোম্পানিগুলো পরিচালনার জন্য বিশেষ দাবি জানিয়েছে ফারিয়া। ঔষধ কোম্পানির সংগঠন ফারিয়া কেন্দ্রীয় কমিটি বিভিন্ন দাবি পেশ করেন তারমধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি, বেতন বৃদ্ধি, মাসিক ছুটি, কাজের ধরনে পরিবর্তন, ৮ ঘন্টা ডিউটি, নিকট আত্মীয় মারা গেলে দেখতে যাওয়ার সুযোগ, সেলস টার্গেট সহনীয় পর্যায়ে রাখা সহ আরো কিছু দাবি তুলে ধরেন।
অতি তাড়াতাড়ি ফারিয়া কেন্দ্রীয় কমিটি দাবিগুলো বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন।
ফারিয়া কেন্দ্রীয় কমিটি।