আদালত অবমাননা মামলার দায় নিয়ে
নিবার্হী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া বদলির আদেশে সিরাজগঞ্জ উপজেলা বেলকুচি
থেকে ত্যাগ করেন
বিশেষ প্রতিনিধি মেহেদী হাসান শুভ্র উপজেলা বেলকুচি সিরাজগঞ্জ
আদালত অবমাননার মামলার দায় মাথায় নিয়েই সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আফিয়া সুলতানা কেয়া বেলকুচি ছেড়ে গেছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পৌর এলাকায় টোল আদায় অব্যাহত রাখায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এর পরপরই রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বদলির আদেশ জারি হয়।
জানা যায়, ১১ মার্চ সিরাজগঞ্জের বেলকুচি সহকারী জজ আদালত এক আদেশে বেলকুচি পৌরসভার টার্মিনাল না থাকা অবস্থায় যানবাহন থেকে টোল আদায় নিষিদ্ধ করেন। সেইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেলকুচি থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
তবে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বেলকুচি পৌর এলাকার চালা, মুকুন্দগাতী বাজার যাত্রীছাউনি, গার্লস স্কুল মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় টেবিল বসিয়ে রিছিভ বই নিয়ে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, ভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহন থেকে টোল আদায় করতে থাকে।
এই প্রেক্ষাপটে ২৫ মার্চ মো. সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আফিয়া সুলতানা কেয়া এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুজ্জামানকে আসামি করে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড, জরিমানা ও আদালতে হাজিরা চেয়ে আবেদন করা হয়।
এদিকে মামলার পর ১৮ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. বারিউল করিম খানের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ইউএনও আফিয়া সুলতানার বদলির আদেশ জারি করা হয়। এরপরই বেলকুচি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া উপজেলা বেলকুচি ত্যাগ করেন।
স্থানীয়দের মতে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দায়িত্ব পালন করায় প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্খানীয় জনগণ।